🖋ডেস্ক রিপোর্ট | বঙ্গ মিরর :
করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ৭ মাস বন্ধ ছিল ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা। দীর্ঘ বিরতির পরে আবার খুলে দেয়া হয়েছে চিড়িয়াখানা। তবে নিউ নরমাল সময়ে মানতে হবে বেশকিছু শর্ত।
জানা যায়, রবিবার (১ নভেম্বর) স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের জন্য চিড়িয়াখানা উন্মুক্ত করে দিয়েছে সরকার। যাবতীয় নিয়ম কানুন অনুসরণের শর্তে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চিড়িয়াখানা খোলার অনুমতি দেয়।
চিড়িয়াখানায় প্রবেশে কর্তৃপক্ষ যেসকল পদক্ষেপ নিয়েছে তা হলো:
*চিড়িয়াখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে অমোচনীয় রং দিয়ে বৃত্তাকার স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে।
*প্রবেশ গেইটসমূহে জীবাণুনাশক টানেল ও ফুটবাথ স্থাপন করা হয়েছে।
*প্রবেশ গেটে থার্মাল স্ক্যানারের সাহায্যে দর্শনার্থীর দৈহিক তাপমাত্রা চেক করা হচ্ছে।
*চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও সাবানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
*দর্শনার্থীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
*দর্শনার্থীর সংখ্যা দৈনিক সর্বোচ্চ ২ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে।
*প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ প্রাণির এনক্লোজারের চারপাশে জীবানুনাশক স্প্রে করা হবে।
*পরিদর্শন সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখা হয়েছে।
*ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সতর্কতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
চিড়িয়াখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে দর্শনার্থীদের যেসকল বিষয় মেনে চলতে হবে-
*চিড়িয়াখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অমোচনীয় রং দিয়ে চিহ্নিত বৃত্তাকার স্থানে অবস্থান করতে হবে।
*প্রবেশ গেইটসমূহে স্থাপিত জীবাণুনাশক টানেল ও ফুটবাথ ব্যবহার করতে হবে।
*চিড়িয়াখানার ভেতর প্রবেশের পর দিক নির্দেশক অনুসরণ করে একমুখী পথ ব্যবহার করতে হবে।
*বাধ্যতামূলকভাবে ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
*চিড়িয়াখানায় খাবার নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না এবং
*চিড়িয়াখানার ভেতরে এক জায়গায় ভিড় বা জটলা করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, জাতির পিতার জন্মশত বর্ষ উপলক্ষে প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবার টিকেট ছাড়াই দর্শনার্থীরা চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে পারবেন বলে জানা গেছে।
বঙ্গ মিরর/এমএমআর