🖋ডেস্ক রিপোর্ট | বঙ্গ মিরর :
কাশি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ও অস্থায়ী হয়। এটি একটি প্রাকৃতিক ক্রিয়া, যা শ্বাসনালী পরিস্কার করতে সাহায্য করে। তবে একটানা কাশি হলে বিরক্ত লাগে। ধুলাবালির কারণে শীতের সময় এই বিষয়টি আরও খারাপ আকার ধারণ করতে পারে। কাশি বেশি দিন ধরে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো। তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাশি বন্ধ করার কিছু ঘরোয়া উপায়ের কথা টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রকাশ করেছে।
মধু
সর্দি এবং কাশির জন্য পরীক্ষিত ঘরোয়া প্রতিকার হলো মধু। কেননা মধুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গেছে, সর্দি কাশি নিরাময়ের জন্য ওষুধের চেয়ে মধু ভালো। ভেষজ চা বা হালকা গরম পানি এবং লেবুর রসে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন দুইবার পান করলে উপকার পাবেন।
আদা
আদা চা বা মধু এবং কালো মরিচের সাথে আদার রস খাওয়া কাশি নিরাময়ের অন্যতম কার্যকরী প্রতিকার। তবে বেশি আদা চা পান করবেন না কারণ এটি পাকস্থলীর সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
লবণ-পানির গার্গল
লবণ-পানির গার্গলে গলার খুশখুশে ভাব কমে এবং এটি শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতে পারে। ১ কাপ হালকা গরম পানিতে ১/৪ চামচ লবণ মিশিয়ে দিনে একাধিকবার এটি দিয়ে গার্গেল করুন।
ইউক্যালিপটাস তেল
নারিকেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে বুকে এবং গলায় ঘষুন। এছাড়া পানিতে ইউক্যালিপটাস মিশিয়ে ভাপ নেয়ার নিন। কেননা ইউক্যালিপটাসের তেল নিশ্বাস পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এক বাটি গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল যোগ করুন এবং ভাপ নিন। নিঃশ্বাস পরিষ্কার হবে। দূর হবে কাশিও।
তুলসি পাতা
তুলসি পাতায় মেন্থল নামক একটি যৌগ থাকে যা কাশি দূর করার কাজে লাগে। এটি গলা ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এছাড়াও, তুলসি পাতা শ্লেষ্মা কমাতে সাহায্য করতে পারে। অ্যারোমাথেরাপি হিসাবে তুলসি পাতার তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
বঙ্গ মিরর/এসআর