🖋ডেস্ক রিপোর্ট | বঙ্গ মিরর :
পুরনো চারটি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় একক আইন তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। ভোগান্তি কমাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে একটি নীতিমাল তৈরিসহ ২৪টি সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
গত রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইউজিসির ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতি মু আব্দুল হামিদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। সেখানে এসব সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশে ৪৬ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কর্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এ চারটি ছাড়া বাকী ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ছাতার নিচে আনতে একক আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ভর্তি হয়রানি কমাতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হতে যাওয়া গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষার মতো বেসরকারি বিশ্বিবিদ্যালয়েও এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে একটি নীতিমালা তৈরিরও সুপারিশ করেছে কমিশন।
এ ছাড়াও ইউজিসির ক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যৌথ গবেষণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থীদর জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য দেশ-বিদেশে স্কলারশিপ ও ফেলোশিপের সংখ্যা বৃদ্ধি, বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক আইসিটি সমৃদ্ধ তথ্যকেন্দ্র স্থাপন, মানসম্পন্ন কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও উচ্চ শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ, আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণসহ ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়েছে।
২০১৯ সালে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার সার্বিক পরিস্থিতি, গবেষণা, সঙ্কট ও সম্ভাবনা নিয়ে ২৪ দফা সুপারিশ করা হয়েছে ৫৬৮ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে। যেখানে ৪৬টি সরকারি ও ১০৫ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য স্থান পেয়েছে।
জানতে চাইলে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সম্ভাবনা, সমস্যা, ভর্তি সহজীকরণ, আর্থিক পরিস্থিতি, আয়-ব্যয়সহ সকল বিষয় বার্ষিক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সংস্থার ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদনে উচ্চ শিক্ষার বর্তমান অবস্থা, সমস্যা ও করণীয় সম্পর্কে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রপতি আমাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন নীতিমালা করা। যেটি প্রতিবেদনে ইতোমধ্যে আমরা সুপারিশ করেছি। তার নানা সুপারিশগুলোর ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেব।’
বঙ্গ মিরর/এসআর