🖋ডেস্ক রিপোর্ট | বঙ্গ মিরর :
২০২০ সালের নির্বাচনে কে জিতলো, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, শেষ পর্যন্ত সুনিশ্চিত হয়েছে মার্কিন গণতন্ত্রের বিজয়। ইতিহাস-গড়া বিপুল মানুষের অংশগ্রহণের ফলে ‘ঐতিহাসিক’ তকমা আঁটা ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রত্যাশাকেই জয়যুক্ত করেছে।
ভোটের প্রবল উত্তাপ ঠেলে যুক্তরাষ্ট্রে বেলা বাড়ছে। টানটান উত্তেজনায় কাটছে প্রহর। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও সকল জরিপের রেশ ও মানুষের প্রত্যাশার পথ ধরে বাইডেন ক্রমশ এগিয়ে চলেছেন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে।
বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সকাল নাগাদ হয়তো ফলাফল জানা যাবে, যখন যুক্তরাষ্ট্রে ৪ নভেম্বর রাত। আবার কল্পনাতীত বিপুল পোস্টাল/মেইন-ইন ভোটগণনার জন্য সময় আরও বেশি লাগতে পারে। তবে তার আগেই বিজয়ের জন্য বাইডেনের ম্যাজিক নম্বর স্পর্শ করার সম্ভাবনা উজ্জ্বল আর ট্রাম্পের বিজয়ের পথ সঙ্কুচিত।
মার্কিন ইতিহাসে পাঁচজন প্রেসিডেন্ট পদে থেকেও পুনঃনির্বাচিত হতে পারেন নি। ট্রাম্প সম্ভবত তালিকায় ছয় নম্বরে যুক্ত হবেন। তবে অন্যদের মতো সাদাসিধা হবেন না তিনি। ফলাফল প্রত্যাখ্যান করবেন কিংবা পুনর্গণনার দাবি করবেন অথবা আদালতের আশ্রয় নিয়ে লড়াই চালাবেন।
কিংবা কিছু উগ্র সমর্থক উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি করবে। এতো বড় দেশে এমনিতে যত ক্রাইম হয়, তাতে এসব ঘটনা ধর্তব্যের মধ্যে পড়বেনা। যে ভয় ও অনিশ্চয়তা ছিল সামাজিক বিভাজন ও গণতন্ত্রের অচলাবস্থা নিয়ে, সেটা কেটে গেছে বিপুল ভোটারের অংশগ্রহণের ফলে, যা প্রমাণ করে মার্কিন নাগরিকগণ গণতন্ত্র রক্ষায় জাগ্রত।
এটা শুধু রেকর্ড পরিমাণ ভোটদানই নয়, নাগরিকগণ যে গণতন্ত্র রক্ষায় জেগে আছেন, তারও প্রমাণবহ। উগ্রপন্থীদের কবলে মার্কিন গণতন্ত্রের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মুক্তি ঘটলো জনতার এই ব্যালট বিপ্লবে। এবং গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য কোনো আঘাতের আশঙ্কারও অবসান ঘটবে গণতান্ত্রিক নাগরিকদের এই ঐক্যবদ্ধ শক্তির উদ্বোধনের মাধ্যমে। শেষ বিচারে ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনে দেশটির ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও মূল্যবোধেরই বিজয় হলো।
বঙ্গ মিরর/এসআর