🖋ডেস্ক রিপোর্ট | বঙ্গ মিরর :
মানুষের জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে স্মার্টফোন। এটিকে ছাড়া পুরো দুনিয়া অন্ধকার মনে হয়। যতক্ষণ স্মাটফোন হাতে থাকবে ততক্ষণই এই মহাবিশ্ব একটি গ্রামের মতো মনে হয়। আমরা স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে তড়িৎ গতিতে সব খবর জানতে পারছি। বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
অনেকে দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোনেই সময় ব্যয় করেন। এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে মানসিক স্বাস্থ্যসহ নানা রকম ক্ষতির কথা এতদিন জানিয়েছে বিভিন্ন গবেষণা। তবে অবাক করার বিষয় হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে মানসিক স্বাস্থ্যের কোনও অবনতি হয় না বলে এক গবেষণায় বলা হয়েছে।
সম্প্রতি নতুন এ গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘টেকনোলজি, মাইন্ড অ্যান্ড বিহেভিয়র’ নামক জার্নালে। যুক্তরাজ্যের ল্যানকাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্ভহিদার শ’র নেতৃত্বে গবেষণা দলটি এ গবেষণাটি করে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর কোনও ব্যক্তির দুশ্চিন্তা, উত্তেজনা, হতাশা, অবসাদ কিংবা চাপ নির্ভর করে না।
১৯৯ জন আইফোন এবং ৪৬ জন অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর গতিবিধির ওপর লক্ষ রেখে পরীক্ষা চালিয়ে গবেষণাটি করা হয়। পুরো এক সপ্তাহে মোট কতটা সময় স্মার্টফোনে কাটাচ্ছে সে হিসাব করা হয়। একইসঙ্গে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ কিনা, তা জিজ্ঞাসা করা হয়। দুশ্চিন্তা কিংবা অবসাদে ভোগেন কিনা, সে পরীক্ষাও করা হয়। স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় কিনা, হলে কী ধরনের সমস্যা হয়, তাও জেনে নেন গবেষকরা।
দীর্ঘ এ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ব্রিটেনের গবেষকরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান, স্মার্টফোন ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কোনও প্রভাব ফেলে না।
তবে এর আগে চালানো এ সংশ্লিষ্ট গবেষণাগুলো মোবাইলের স্ক্রিন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কথাই বলেছে। এমনকি ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, মোবাইল ফোন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ছড়ায়, যা কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
বঙ্গ মিরর/এসআর